পোস্টগুলি

অামড়া পুষ্টিকর একটি ফল...!

ছবি
অামড়া গ্রামবাংলার জনপ্রিয় একটি ফল।প্রাচীন কালথেকে অামাদের দেশে অামরা খুবই জনপ্রিয় কারন দেশি ফল বলে এর কদর অনেক বেশি। আমড়া সুস্বাদু ও সহজপ্রাপ্য একটি দেশি ফল। এটি থেকে আচার, চাটনি ও জেলি তৈরি করা যায়। আমড়া তরকারি হিসেবে রান্না করেও খাওয়া যায়। দামে সস্তা হলেও মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য স্বাস্থ্যকর গুন রয়েছে এ ফলের। অামরা ক্যালসিয়ামের ভালো উৎস, শিশুদের এই ফল খেতে উৎসাহিত করতে পারেন। এছাড়া এটি রক্তস্বল্পতাও দূর করে। অনেক স্বাস্থ্যকর ভেষজ গুণ আছে আমড়ায়। এটি পিত্তনাশক ও কফনাশক, আমড়া খেলে মুখে রুচি ফেরে, ক্ষুধা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে থাকে বলে প্রমানিত। আমড়ায় থাকা ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। খাদ্যে থাকা ভিটামিন এ এবং ই এটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে দেহকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত থেকে রক্ষা করে অামড়া। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ায় ১. ০ ১ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম শ্বেতসার, ০.১০ গ্রাম স্নেহ জাতীয় পদার্থ এবং ৮০০ মাইক্রোগ্রাম ক্যারোটিন আছে। এ ছাড়াও আছে ০.২৮ মিলিগ্রাম থায়ামিন, ০.০৪মিলিগ্রাম রিবোফ্লাভিন, ৯২ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি, ৫৫ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম এবং...

জাম্বুরা খাওয়ার এত্ত গুন...!

ছবি
জাম্বুরা গ্রাম বাংলার অতি-পরিচিত একটি নাম। জাম্বুরা বা বাতাবি লেবু একটি দারুণ উপকারি ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ ফল। এটি ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভালো উপকার পাওয়া যায়। জাম্বুরা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধে জাম্বুরাতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে। এটি রক্তনালির সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ডায়াবেটিস, জ্বর, নিদ্রাহীনতা, পাকস্থলী ও অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়া কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন ধরনের হৃদরোগের হাত থেকে রক্ষা করে জাম্বুরা। নিয়মিত জাম্বুরা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ও পেটের নানা রকম হজমজনিত সমস্যার প্রতিকার হয়।হজম সমস্যায় জাম্বুরাতে রয়েছে প্রচুর আঁশ। এটি খাদ্যের সঠিক পরিপাকে সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়ার মতো সমস্যা দূর করে। এর আঁশ পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়া সচল রাখে ও সঠিক মাত্রায় পরিপাক রস নিঃসৃত করে। ফলে খাদ্যের সর্বোচ্চ পরিপাক হয় এবং হজমের সমস্যা দূর করে।ক্যানসার প্রতিরোধ জাম্বুরা আন্ত্রিক, অগ্ন্যাশয় ও স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। এর লিমোনয়েড নামক উপকরণ ক্যানসারের জীবাণুকে ধ্বংস করে ও এর আঁশ মলাশয়ের ক্যানসার প্রতিরো...

জলপাই এর স্বাস্থ্য কর গুন কি ...?

ছবি
অাজ জলপাই সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নাই।গ্রাম এবং শহর সকল জায়গায় জলপাই সমান ভাবে জনপ্রিয় ফল। জলপাই হচ্ছে টক জাতীয় একটি ফল এর খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশ নিয়মিত খাবার হজমে সাহায্য করে। পাশাপাশি পাকস্থলী, ক্ষুদ্রান্ত, বৃহদান্ত, কোলনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ফল। শুধু ফল হিসেবে নয়, এর তেলও খুব স্বাস্থ্যকর। সাধারণত আমরা জলপাইয়ের আচার করে খাই এর চেয়ে কাঁচা জলপাইয়ে রয়েছে বেশি পুষ্টি গুন। এবার চলুন জেনে নেওয়া যাক জলপাইয়ের কিছু গুণাগুণ নিয়ে কিছু স্বাস্থ্যকর তথ্যকথাঃ হৃদরোগের যত্নে জলপাইঃ যখন কোনো মানুষের রক্তে ফ্রির্যা ডিকেল অক্সিডাইজড কোলেস্টোরেলের মাত্রা বেড়ে যায় তখন হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। জলপাইয়ের তেল হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। জলপাইয়ের এ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের কোলেস্টেরেলের মাত্রা কমায়। ফলে কমে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি। ক্যান্সার প্রতিরোধে জলপাইঃ কালো জলপাই ভিটামিন ই এর বড় উৎস। যা কিনা ফ্রির্যাডিকেলকে ধ্বংস করে। ফলে শরীরের অস্বাভাবিক ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। শুধু তাই নয়, জলপাইতে রয়েছে মনোস্যাটুরেটেড ফ্যাট। জলপাইয়ের ভিটামিন ই কোষের অস্বাভাবিক গঠন...

করল্লার উপকারিতা কি...?

ছবি
করল্লা তিক্ত স্বাদযুক্ত গ্রামবাংলার অতিপরিচিত একটি সবজি। করল্লায় বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও উপকারী ভিটামিনসমৃদ্ধ। প্রতি ১০০গ্রাম করল্লায় বিভিন্ন প্রকার পুষ্টি উপাদানেরপরিমাণ কার্বোহাইড্রেট : ৩.৭০ গ্রাম,প্রোটিন : ১ গ্রাম, ফ্যাট : ০.১৭ গ্রাম, খাদ্য আঁশ : ২.৮০ গ্রাম, নায়াসিন :০.৪০০মিলিগ্রাম, প্যান্টোথেনিক এসিড ০.২১২মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ : ৪৭১ আই ইউ, ভিটামিন সি : ৮৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ; ৫ মিলিগ্রাম, পটাশিয়াম : ২৯৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম : ১৯ মিলিগ্রাম,কপার : ০.০৩৪ মিলিগ্রাম, আয়রন : ০.৪৩ মিলিগ্রাম,ম্যাগনেসিয়াম : ১৭ মিলিগ্রাম, ম্যাঙ্গানিজ : ০.০৮৯ মিলিগ্রাম, জিংক : ০.৮০ মিলিগ্রাম।১০০ গ্রাম করল্লা থেকে মাত্র ১৭ ক্যালরি পাওয়া যায় এবং এতে পানির পরিমাণ ৮০-৮৫%। এই উভয় কারণেই করলা আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে বিশেষভাবে সাহায্য করে। করল্লায় বিদ্যমান অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আমাদের দেহ থেকে অপ্রয়োজনীয় পদার্থ নিষ্কাশনে সাহায্য করে, যা আমাদের পরিপাক ও বিপাককে সহজ করে। ফলে আমাদের ওজন দ্রুত হ্রাস পায়। করল্লায় ভিটামিন সি আমাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও যে কোনো ইনফেক্শন থেকে রক্ষা দেয়। যে কো...

তেলাকুচার উপকারিতা কি...?

ছবি
তেলাকুচা দেশের প্রায় সব অঞ্চলে বসত বাড়ির আশে পাশে, রাস্তার পাশে বন-জঙ্গলে জন্মায় এবং বংশ বিস্তার করে। সাধারণত চৈত্র বৈশাখ মাসে তেলাকুচা রোপন করতে হয়। পুরাতন মূল শুকিয়ে যায় না বলে গ্রীষ্মকালে মৌসুমি বৃষ্টি হলে নতুন করে পাতা গজায় এবং কয়েক বছর ধরে পুরানো মূল থেকে গাছ হয়ে থাকে। অবহেলিত এ লতা জাতীয় গাছটি অত্যন্ত উপকারী। আসুন জেনে নিই এর ঔষধি গুণ। ডায়াবেটিস:- ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচার কান্ড সমেত পাতা ছেঁচে রস তৈরি করে আধাকাপ পরিমাণ প্রতিদিন সকাল ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচার পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগে উপকার হয়। জন্ডিস:- জন্ডিস হলে তেলাকুচার মূল ছেঁচে রস তৈরি করে প্রতিদিন সকালে আধাকাপ পরিমাণ খেতে হবে। পা ফোলা রোগে :- গাড়িতে ভ্রমণের সময় বা অনেকক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসলে পা ফুলে যায় একে শোথ রোগ বলা হয়। তেলাকুচার মূল ও পাতা ছেঁচে এর রস ৩-৪ চা চামচ প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে। শ্বাসকষ্ট :- বুকে সর্দি বা কাশি বসে যাওয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট (হাপানি রোগ নয়) হলে তেলাকুচার মূল ও পাতার রস হালকা গরম করে ৩-৪ চা চামচ পরিমাণ ৩ থেকে সাত দিন প্রতিদিন সকালে ও বিকালে খেতে হবে। কাশি :- শ্লেস্মাকাশি হলে শ্...

অামলকি কেন খাব...?

ছবি
অামলকিঃপ্রতিদিন মাত্র একটি আমলকি খেয়ে আমাদের ভিটামিন সি এর চাহিদা পূরণ করতে পারে। আমলকি শরীর ঠান্ডা রাখে, রক্ত, মাংস ও হাড়ের গঠনে ভূমিকা রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ, পায়খানা স্বাভাবিক রাখা ও পুরুষের দেহে বীর্য বর্ধক হিসাবে কাজ করে। চোখের জন্যও আমলকি বিশেষ ভাবে উপকারী।   প্রতি ১০০ গ্রাম আমলকিতে আছে ১) পানি- ৯১.৪ গ্রাম, ২) খনিজ -০.৭ গ্রাম, ৩) প্রোটিন – ০.৯ গ্রাম, ৪) ক্যালসিয়াম – ৩৪.০ মিগ্রা, ৫) আয়রণ – ১.২ মিগ্রা, ৬) ভিটামিন বি১-১০.০২ মিগ্রা, ৭) ভিটামিন বি২-২০.০৮ মিগ্রা, ৮) ভিটামিন সি-৪৬৩ মিগ্রা। আমলকিতে পেয়ারার চেয়ে আড়াই গুণ, লেবুর চেয়ে সাড়ে চার গুণ, আমের চেয়ে ১০ গুণ, কমলার চেয়ে ১১ গুণ, আমড়ার চেয়ে ৫ গুণ সহ সব ফলের চেয়ে দ্বিগুণ থেকে বেশি ভিটামনি সি থাকে তাই পুষ্টিকর ফল হিসেবে অামলকি জনপ্রিয় ফল বলা চলে। আমলকী কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে।বমি বন্ধে কাজ করে।দীর্ঘমেয়াদি কাশি সর্দি হতে উপকার পাওয়ার জন্য আমলকীর নির্যাস উপকারী। এটি হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধক।এটি দাঁত,চুল ও ত্বক ভাল রাখে।এটি খাওয়ার রুচি বাড়ায়।কোষ্ঠকাঠিন্য, মাথাব্যথা, অম্ল,রক্তাল্পতা, বমিভাব দূর ...

মসুর ডাল এর উপকারিতা কি...?

ছবি
আমিষের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে বলা হয়ে থাকে মসুর ডাল গরিবের জন্য গো-মাংস। মসুর ডাল দেখতে হালকা লাল বর্ণের। দানাগুলো খেসাড়ী, কলাই বা বুটের ডাল থেকে ছোট। মসুর ডাল উচ্চ আমিষ সমৃদ্ধ ; ফলে মানব দেহে আমিষের অভাব পূরণ করার জন্য যথেষ্ট। বাংলাদেশের অতি জনপ্রিয়  মসুর ডাল।মসুর ডাল প্রোটিনের ভান্ডার বলে একে মাংসের বিকল্প হিসেবেও ধরা হয়ে থাকে। গরিবের মাংস বলা হয় মসুর ডালকে  আর তাই নিরামিষ ভোজীদের কাছে এটি অত্যন্ত পছন্দের একটি খাবার । মসুর ডালের পুষ্টিগুণ। মসুর ডাল শুধু সুস্বাদুই নয় এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ। যেমন, খনিজ পদার্থ, আঁশ, খাদ্যশক্তি, আমিষ, ক্যালসিয়াম, লৌহ, ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-২ ও শর্করা ইত্যাদি।   মসুর ডাল সহজপাচ্য এবং এতে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বাধিক। প্রতি ১০০ গ্রাম মসুর ডালের পুষ্টিগুণ এমন -জলীয় অংশ ১২.৪ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ২.১ গ্রাম, আঁশ ০.৭ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৩৪৩ কিলোক্যালরি আমিষ ২৫.১ গ্রাম, চর্বি ০.৭ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৬৯ মিলিগ্রাম, লৌহ ৪.৮ মিলিগ্রাম, ক্যারোটিন ২৭০ মাইক্রোগ্রাম, ভিটামিন বি-২ ০.৪৯ মিলিগ্রাম, শর্করা ৫৯.০ গ্রাম। সৌন্দর্য্য চর্চায় ...