পোস্টগুলি

টেস্টিংসল্ট ক্ষতিকর এক বিষ....!

ছবি
বিষ এর নাম টেস্টিংসল্টঃ মজাদার খাবারে মুখরোচক স্বাদের জন্য ব্যবহৃত হয় টেস্টিংসল্ট। অাজ রান্নার প্রধান উপকরণ যেন এটি। চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা টেস্টিং সল্টকে স্নায়ুবিষ বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই রাসায়নিক উপাদানটির নাম মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট বা সংক্ষেপে এমএসজি। শুধু সোডিয়াম গ্লুটামেট নামেও এটি পরিচিত। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এর ক্ষতির কথা বিবেচনা করে একে ‘এক্সাইটোটক্সিন’ গ্রুপের মধ্যে ফেলেছেন। এটি সড়বায়ুকে উত্তেজিত করে স্বাদের অনুভূতি বাড়ায়, কিন্তু এটি এখন বিষাক্ত বলে পরিগণিত হওয়াতেই এর এমন পরিচিতি বিশেষজ্ঞরা জানান, টেস্টিং সল্ট মস্তিস্ককে উদ্দীপ্ত করে এমন একটি অবস্থার সৃষ্টি করে যাতে মনে হয়, খাবারটি খুবই সুস্বাদু। মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর টেস্টিং সল্ট মিশ্রিত খাবার সরবরাহ নিষিদ্ধ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টেস্টিং সল্ট মানবদেহে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে বিষিয়ে তোলে থাকে। ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়।  টেস্টিংসল্ট খেলে ঘুম কম হয়। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে স্বাভাবিক খাবার অরুচিকর লাগে যা রুচি নষ্টকরে থাকে। টেস্টিংসল্ট খাবার খালে কাজে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। নিয়মিত টেস্টি...

পটল এর উপকারীতা কি...?

ছবি
পটল  বাংলাদেশের একটি পরিচিত সবজি এটি খব জনপ্রিয় দৈনিক অামরা পটল তরিতরকারি,  স্যুপ, ভাজা এমনকী মিষ্টান্ন প্রস্তুতিতেও ব্যবহৃত হয়।পটল দিয়ে নানা রকমের খাবার করা হয়। পটলের উৎপাদনমাত্রা ভালো। ৪৫ থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফসল পাওয়া যায়। ৩ থেকে ৪ দিন পরপর পটল তোলা যায়।  পটল একটি তরকারী হিসেবে  বেশ চাহিদা আছে। পটলের শ্রমিক খরচ কম। পটল লম্বায় ৫-১৫ সেমি পর্যন্ত হয়ে থাকে। স্বল্পোষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় ভাল জন্মায়। পটলের তরকারী বেশ উপকারী। পটলের রয়েছে অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা।পটল খাওয়া শরীরের পক্ষে অনেক ভালো। পটলে ফাইবার থাকে যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যা সমাধানে এবং লিভারের সাথে সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানেও সাহায্য করে। পটলের বীজ এমন একটি স্বাস্থ্যকর বীজ যা কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে এবং মল নির্গমনে সাহায্য করে থাকে। পটলে ক্যালরির পরিমাণ কম থাকে। তাই ওজন কমানোর জন্য নিশ্চিন্তে পটলের তরকারি খেতে পারেন। এটি পেট ভরা রাখতে ও খিদে কমাতে সাহায্য করে। পটলের আরেকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা হচ্ছে এটি রক্তকে পরিশোধিত করে। এর ফলে ত্বকের যত্ন...

শিশু-কিশোরের অাচরনের সমস্যা...!

ছবি
শিশুর অাচরনের সমস্যাঃ পরিসংখ্যান মতে চার শতাংশ শিশু-কিশোরের মধ্যে এ সমস্যা থাকতে পারে।তবে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের মধ্যে এ সমস্যা  চার গুন বেশি লক্ষ্য করা যায়। এ অাচরন ও সমস্যা সম্পর্ক অাত্মীয়স্বজন মনে করে, বয়স হলে এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।  অার চিকিৎসা পরিভাষায় এটি একটি রোগ যা সঠিক সময় সঠিকভাবে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। লক্ষনসমূহঃ ১)বাবা-মা কে বিভিন্ন জিনিসের জন্য চাপ সৃষ্টি  করে ১০,২০,৫০,১০০ টাকা নিত। এখন ৪০০/৫০০টাকা তাকে দিতে হয় হাতখরচ বাবদ। না দিলে শুরু হয় জিনিসপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন অত্যাচার। ২) প্রতিটা মায়েরও অভিযোগ থাকে ছেলেটা একদম কথা শোনেনা, পড়তে বসে না, বই ছিঁড়ে ফেলে। এমনকি শিক্ষকের কথাও  শুনতে চায়না। ৩)এসব বাচ্চার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ অাসে। ৪)এই বাচ্চারা কখন কাউকে ভয় পায়না। ৫) কেউ কেউ বড়দের সঙ্গে এমন এমন সব কথা বলে ও ব্যবহার করে যা সাধারন অবাক করার মতো। ৬)ইস্কুল ফাঁকি দেওয়া রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। ৭)ঘরের অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার মারামারি করে ফেলে। ৮)ধীরে ধীরে বিভিন্ন অসামাজিক ও অপরাধমূলক কার্যকলাপে  হতে থাকে।  যে...

দারুচিনি এর উপকারিতা কি...?

ছবি
দারুচিনিঃ দারুচিনি এর ইংরেজি নাম Cinnamonবৈজ্ঞানিক নাম Cinnamomus Zeylanicum একটি মসলা বৃক্ষের নাম। স্বাভাবিক পরিবেশে এই বৃক্ষের উচ্চতা দশ থেকে পনের মিটার পর্য্যন্ত হয়ে থাকে। আদি নিবাস শ্রীলংকায়। আজ কাল ইন্দোনেশিয়া, ভারত, বাংলাদেশ ও চীন প্রভৃতি দেশে ও উৎপাদিত হচ্ছে। দেখতে কিছুটা তেজপাতা  বৃক্ষের মতো এই বৃক্ষের চামড়াটা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দারুচিনির সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়।দারুচিনি ওজন কমাতে   বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। নিয়মিত দারুচিনি খেলে ক্ষুধা কমে যায় শুধু তাই নয় দারুচিনি শরীরের জমে থাকা মেদ গলাতে সাহায্য করে। দারুচিনি শরীরের সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি খুবই উপকারী। এছাড়াও পেটের রোগ, ইনফ্লুয়েঞ্জা,টাইফয়েড,টিবি ও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্য়করী। উপকারিতা ১) পৃথিবীর সেরা ৭ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় রয়েছে দারুচিনি। শরীরের বিভিন্ন অংশের ক্ষত সারিয়ে তুলতে এই মশলা কার্যকরী। ২) দারুচিনিতে রয়েছে প্রচুর ম্যাঙ্গানিজ। মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে। বাতের ব্যথায় দারচিনির তেল বা চা ...

কোষ্ঠকাঠিন্য সমাধান কি...?

ছবি
কোষ্ঠকাঠিন্যঃএমন কোন ব্যক্তি নেই,যার জীবনে কখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়নি। এরকম অবস্থা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেহবে। কোষ্ঠকাঠিন্য কিঃ পায়খানা শক্ত বোঝাতে অামরা কোষ্ঠকাঠিন্য শব্দটি ব্যবহার করি। মেডিকেল সাইন্সের পরিভাষায় পায়খানা সপ্তাহে তিনবারের কম অথবা পরিমাণে কম,শক্ত এবং শুকনা হওয়াকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে। কেউ পর্যাপ্ত অাঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরও যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করেন, তখন সঠিক কারন নির্নয় জরুরি।  কোষ্ঠকাঠিন্যর কারনঃ ১)অাঁশযুক্ত খানার ও শাক-সবজি কম খাওয়া। ২)পানি বা তরল খাবার কম খাওয়া। ৩)নিয়মিত ফাস্ট ফুড খাওয়া। ৪)সময় মত মলত্যাগ না করে চেপে রাখার প্রবনতা। বেশির ভাগ কর্মজীবী মহিলাদের এই অভ্যাসটা অাছে। জটিলতাঃ ১) দীর্ঘদিন যাবৎ কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগলে অনেক ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। যেমনঃমল ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়া। ২)পাইলস,ভগন্দর,গেজ, ইত্যাদি রোগ হওয়া। ৩)মলদ্বার বাইরে বের হয়ে অাসা। ৪)প্রস্রাবের সমস্যা। ৫)অন্তে ব্লক বা প্যাচ লেগে পেট ফুলে যাওয়া। ৬)মলদ্বার এ ঘাঁ বা রক্তপাত হওয়া। ৭)ক্লন ক্যানসার হওয়া। চিকিৎসাঃ কোষ্টকাঠিন্য একটি দীর্ঘমেয়া...

শশার স্বাস্থ্যকর উপকারিতা কি....?

ছবি
শশা অাজ অামাদের অতি পরিচিত জনপ্রিয় সবজি। বছরে বারমাসি পাওয়া যায় শশা। শশা অপছন্দ এমন লোক খুজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। শশার গুনাগুনঃ শশায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে। যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী শশা। প্রত্যেকদিন ত্বকে শশার রস লাগালে শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়ে ত্বকে ঔজ্জ্বল্য নিয়ে আসে। আপনার ত্বক যদি রোদে পুড়ে কালো হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে শশার রসের সঙ্গে দই এবং লেবুর রস মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই মিশ্রণ রোজ ব্যবহার করলে সানবার্ন মুহূর্তে দূর হয়ে যাবে। শশার বীজও মোটেই ফেলে দেওয়ার নয়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম। যা রিঙ্কল মুক্ত করতে সাহায্য করে, ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না। ১) শশার মাল্টি ভিটামিনস ও মাল্টি মিনারেলস প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং ভিটামিন ও মিনারেলসের অভাবজনিত সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ২)শশার পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ৩)এর ম্যাগনেসিয়াম রক্ত চলাচল সচল করে। ৪) শশার আঁশ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় করে। ৫)এ...

তেতুল এর উপকারীতা বা গুনাগুন এর চমক .....!

ছবি
তেতুল গ্রামবাংলার পরিচিত একটি টক স্বাদের ফল ।তেতুল এর সাথে কম বেশি সকলের পরিচিত , ফলে তেতুলের কথা শুনলে মুখে পানি চলে অাসে তাইনা..? অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়।এমন ধারণা সম্পূর্ণ ভুল এবং ভিত্তিহীন । বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ এ ভরপুর । তেঁতুল দেহে অামাদের উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব ভাল উপকারী একটি ফল। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ূর্বেদীয়, হোমিও ও এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। খাদ্যশক্তির পরিমাণ নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি থকে তেতুলে। ক্যালসিয়ামের পরিমাণ সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি আছে তেতুলে। অন্যান্য পুষ্টি উপাদান স্বাভাবিক পরিমাণে আছে এ তেঁতুল যেসব রোগের জন্য উপকারী তা হলো স্কার্ভি রোগ, কোষ্ঠবদ্ধতা, শরীর জ্বালা করা প্রভৃতি রোগে তেঁতুলের শরবত খুব উপকারী। তেঁতুল রক্তের কোলস্টেরল কমায়। মেদভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়। তেঁতুল খেলে কোনো ক্ষতি হয় না। তবে বেশি খেলে রক্তের চাপ কমে যেতে পা...