পোস্টগুলি

গর্ভের শিশুদের এবং গর্ভবতী মায়ের রাড়তি যত্ন ছোলার ডাল থেকেই.....

ছবি
গর্ভাবস্থায় মায়েদের নিতে হয় বাড়তি যত্ন। কারণ এ সময় সামন্য ভুলের কারণে ঘটে যেতে পারে অপ্রত্যাশিত অনেক কিছুই। গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরে প্রয়োজন পুষ্টির। তাই এ সময় খাবার খাওয়ার প্রতি যত্নশীল হতে হবে। মা এবং শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় চাই পুষ্টিকর খাবার। হবু মায়েরা খেতে পারেন ছোলা। গর্ভাবস্থায় ছোলা খবুই উপকারি। ছোলায় প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট যা ফলিক। যা গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করে। ছোলায় যেসব উপকারিতা পাওয়া যায়- ১. গর্ভাবস্থায় যেসব নারী রক্তশূন্যতায় ভোগেন তারা ছোলা খেলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক থাকে। একই সঙ্গে অপরিণত শিশু জন্মের ঝুঁকিও কমে। ২. গর্ভাবস্থায় অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায়। রক্তে শর্করার পরিমাণ ঠিক না থাকলে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে খারাপ প্রভাব পড়ে। ছোলায় থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ৩. ফলিক অ্যাসিডের ভালো উৎস হওয়ায় গর্ভাবস্থায় ছোলা খেলে অনাগত শিশুর বৃদ্ধি ভালো হয়। ৪. ছোলা ফাইবারের ভালো উৎস হওয়ায় গর্ভবতী নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ৫. ছোলায় থাকা প্রোটিন গর্ভস্থ শি...

খাবার বিক্রি গাড়ি বর্তমানে দুনিয়ার সবচেয়ে লাবজনক একটি ব্যবসা.....

ছবি
দারুণ একটা বিজনেস আইডিয়া ! ষ্ট্রীট ফুড ভ্যানের এই প্রকল্পটি আপনারা যে কেউ যারা উদ্যোক্তা হতে চান, যারা কোন কাজকে ছোট মনে করেন না এবং যাদের ২৫,০০০ টাকা থেকে ১০০,০০০ টাকা মূলধন আছে শুরু করতে পারেন। এটাই হতে পারে আপনার এগিয়ে যাবার একটা উপায়। ভ্রাম্যমান গাড়ির খাবার/ ফুডকার্ট.. রাস্তার খাবার বলে তাচ্ছিল্য করার আর উপায় নেই। এখন রাস্তায় মিলছে মজার মজার স্বাস্থ্যকর দেশি-বিদেশি খাবার। এখন প্রায় সব দেশের শহরের বিভিন্ন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোতে প্রায়ই চোখে পড়ছে ভ্রাম্যমাণ খাবারের গাড়ি, যাকে বলে ফুডকার্ট। ফুডকার্ট হচ্ছে খাবারের চলন্ত গাড়ি, যাতে নানা রকম খাবার সাজিয়ে রাখা হয় বিক্রির জন্য। গাড়ির ভেতরের দিকে আছে খাবার গরম রাখার চুলা। তার ওপর খাবারের ট্রে বসিয়ে খাবার সাজিয়ে প্লাস্টিকের শিট দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়। ক্রেতা অর্ডার দিলেই গরম খাবার সরবরাহ করা হয় প্যাকেটে। নিচের দিকে চাকা আর ওপরে ছাউনি দিয়ে ঢাকা। ফুডকার্টের ধারে দাঁড়িয়ে চটজলদি খাবার খেয়ে নেওয়া অথবা বাসায় নিয়ে যাওয়ারও ব্যবস্থা আছে। চাকুরীজীবি, পেশাজীবি সহ তরুণদের কাছে এটি এখন নতুন আকর্ষণ। ভালো মানের খাবারের দোকানের চেয়ে ফুডকার্টে...

জীবন পাল্টে যাওয়ার অমূল্য গল্প.....

ছবি
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে বেড়াতে গেছেন রোমানিও স্বামী-স্ত্রী। একদিন একটি নির্জন, বরফে ঢাকা পাহাড়ী এলাকা ঘুরতে যান তারা। হাঁটতে হাঁটতে একসময় পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তায় পথ হারিয়ে পেলেন ওই দম্পতি। পথ খুঁজতে খুঁজতে সন্ধ্যা নামলে দিশেহারা হয়ে পড়েন। দ্রুত অন্ধকার ঘনিয়ে আসছে চারদিক। কনকনে শীত, সাথে হিমেল হাওয়া আর অদ্ভুত একটা ভয় গ্রাস করে তাদের। চারদিকে পিনপতন নিরবতা। মাঝে মাঝে শিয়ালের হুক্কা হুয়া ডাকে পরিবেশটাকে আরো ভারি করে তুলছে। হঠাৎ দেখতে পেলেন দুরে কোথাও হালকা একটা আলো জ্বলছে। মনে কিছুটা সাহস সঞ্চয় করে তারা সেদিকে হাঁটতে লাগলেন। কাছে গিয়ে দেখলেন, একটি কুঁড়েঘর। দরজায় টোকা দিতেই একজন জীর্ণ-শীর্ণ মধ্য বয়স্ক লোক দরজা খুলে দিলেন। অসময়ে অপরিচিত মানুষ দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলেন গৃহকর্তা। আগন্তুক বিস্তারিত জানিয়ে লোকটির কাছ থেকে সহযোগিতা চাইলেন। অতি বিনয়ের সাথে গৃহকর্তা তাদের ভিতরে এসে বসতে বললেন। কুড়েঘরে আরো ছিলেন লোকটির বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়ে। আগন্তুক গৃহকর্তাকে হোটেলের কার্ড দেখিয়ে যাওয়ার উপায় জানতে চাইলেন। অন্ধকারে পাহাড়ী আঁকাবাঁকা রাস্তায় কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হোটেলে যাওয়া এ...

কোটিপতি এক ঝাড়ুদার জীবন পাল্টে যাওয়ার গল্প

ছবি
যিনি শূন্য থেকে শুরু করে লাখো ডলারের মালিক হয়েছেন। কিন্তু ভুলে যাননি তার অতীতকে। বরং তিনি তার অতীতকে গর্বের সঙ্গে তুলে ধরেন। চীনের হংসান জেলার ইউহান শহরের বাসিন্দা ইউ ইউজহেন। ৫৩ বছর বয়সি এই নারী ইউহান শহরে ২১টি অ্যাপার্টমেন্টের মালিক। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ১৫ লাখ ডলার। তারপরও তিনি গত ১৫ বছর ধরে দেশটির স্যানিটেশন ডিপার্টমেন্টের অধীনে রাস্তা ঝাঁড়ু দেওয়ার কাজ করে যাচ্ছেন। তার এক হাতে ঝাঁড়ু, অন্য হাতে ১৫ লাখ ডলার! সপ্তাহে ছয় দিন কাজ করে মাসে ২১৮ ডলার আয় করেন ইউজহেন। কি আশ্চার্য! ১৫ লাখ ডলার স্থাবর সম্পত্তির মালিক রাস্তা ঝাঁড়ু দেওয়ার কাজ করেন? এই রহস্যের সমাধান পেতে ইউ ইউজহেনের অতীত ইতিহাস ঘেঁটে দেখতে হবে আমাদের। ১৯৮০ সালে ইউজহেন ও তার বেকার স্বামী সবজি চাষি হিসেবে তাদের কর্মজীবন শুরু করেন। উদয়াস্ত পরিশ্রম করে পাঁচ বছর পর তারা ছোট তিনটি ঘর নির্মাণ করেন। ওই সময়ে ইউহান শহরে কাজের জন্য বাইরে থেকে অনেক লোক আসত। এ সুযোগে ইউজহেন তাদের ঘরগুলো মাসে ৫০ ইউয়ানে ভাড়া দিতেন। সবজি বিক্রি ও বাড়ি ভাড়া থেকে পাওয়া অর্থ জমিয়ে পাঁচ বছরের মধ্যে তারা একটি পাঁচ তলা ভবন নির্মাণে সক্ষম হন। এরপর তাদে...

দরিদ্র জয় করা এক নারীর গল্প

ছবি
নিতাই ইউনিয়নের কুঠিয়ালপাড়া গ্রামের রুমা বেগমের দিন এনে দিন খাওয়ার সংসার ছিল। তিনিও ওই দারিদ্র নিশ্চিত করন কর্মসুচী থেকে পঞ্চম ব্যাচে প্রশিক্ষন নিয়ে এ্যামবয়ডারী কাজ শিখে মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ তৈরী করে ভ্যাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি  কিশোরগঞ্জ উপজেলায় পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের অফিসে প্রশিক্ষন নেই। আবার সেখান থেকে ১০ হাজার টাকা লোন নিয়ে এ্যামবয়ডারির মালামাল কিনে মেয়েদেও ভ্যানিটি ব্যাগ তৈরী করা শুরু করি। প্রতিটি ব্যাগ ৭শ টাকা থেকে একহাজার টাকা করে বিক্রি করি। আমি আমার স্বামীর পাশাপাশি সংসাওে সাহায়তা করতে পারছি। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের মোতমাইননা বেগম সংসারে ঠিকমত উনুন জ্বলতোনা। মোতমাইননা বেগম বলেন, সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনার জন্য আমার পাশের গ্রামের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসুচি থেকে  প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থী বাবলি আপার মাধ্যমে আমি অফিসে গিয়ে আমার নাম দিয়ে আসি। অফিস থেকে তারা আমাকে ডাকলে আমি  নকশি কাঁথার উপর প্রশিক্ষন নিয়ে কাজ শুরু করি। আমিও দশ হাজার টাকা লোন নিয়ে মালামাল কিনি। আমার তৈরিককৃত পণ্য বিক্রি করে যা লাভ হয় তা দিয়ে আমি সংসারের কাজ করি। এভাবে যদি আমি পণ্...

অদম্য উদ্যোক্তার নাম সন্ধা রানী....

ছবি
বানারীপাড়ায় হার না মানা এক জীবন সংগ্রামী নারী সন্ধ্যা রাণী। একসময় এ নারীর পরিবারে দারিদ্রতা ছিলো নিত্য সঙ্গী। অনাহারে অর্ধাহারে জীবন চলতো তাদের। অদম্য ইচ্ছে শক্তি, নিরলস পরিশ্রম ও আত্ম প্রত্যয় সন্ধ্যা রাণীর জীবনের দারিদ্রতা নামক অমানিশার ঘোর অন্ধকার কেটে আলোময় করে দিয়েছে। ১৯৭৩ সালে তিনি পূর্ব অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ ছাড়াই এলাকায় শামুক কুঁড়িয়ে তা পুড়িয়ে হাতে খাবার চুন তৈরী করার কাজে নিয়োজিত হন। এভাবে চুন তৈরী করে তা বিক্রি করে ২ বেলা খেয়ে না খেয়ে কোন ভাবে চলতো তাদের সংসার। ২০০০ সালে সন্ধ্যা রানী বানারীপাড়া পৌর শহরের ৫ নং ওয়ার্ডে বিডিএস পরিচালিত ‘করবী’ মহিলা সমিতিতে ভর্তি হয়ে প্রথমে ১৫ হাজার টাকা ঋন নিয়ে চুন প্রস্তুতের পরিধি বৃদ্ধি করেন। এরপর আর সন্ধ্যা রানীকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। বিডিএস থেকে ধাপে ধাপে ঋনের সিলিং বৃদ্ধি করতে থাকেন। সেই সাথে কারখানায়ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করেন। সন্ধ্যা রাণী বিডিএস থেকে ১৬ দফায় ৭ লাখ টাকা ঋন গ্রহণ করেন। বর্তমানের তার ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ঋন চলমান রয়েছে। সন্ধ্যা রানীর তিন ছেলে ও স্বামী এ ব্যবসার সাথে জড়িত। সন্ধ্যা রাণী জানান, প্রথমে শামুক এনে স্তু...

উদ্যোক্তা নারীর অদম্য এক গল্প

ছবি
বিশ্বখ্যাতি মুর নামে। পুরো নাম অ্যান এস মুর। বর্তমান আধুনিক বণিক বিশ্বেও অন্যতম আলোচিত নাম এখন মুর। ভালো বেতনের সুনিশ্চিত চাকরি ছেড়ে মুর বনে গেছেন সফল উদ্যোক্তা। হয়ে উঠেছেন সফল নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ্য উদাহরণ। বিখ্যাত মিডিয়া প্রতিষ্ঠান টাইম ইঙ্ক ডটকমের প্রথম নারী সিইও এবং চেয়ারম্যান অ্যান মুরের কর্মজীবনের সূচনা একজন ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট হিসেবে। শিক্ষাজীবনে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ শেষ করে যোগ দেন টাইম ইঙ্ক ডটকমে। ১৯৭৮ সাল থেকে সুদীর্ঘ ৩৫ বছরের একটানা কর্মজীবনে পরিশ্রম, অদম্য আগ্রহ আর পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ক হিসেবে অ্যান মুর নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। একেবারেই একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য কখনওই খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় না। কারণ প্রতিটি সফলতার পেছনে উপযুক্ত পরিকল্পনাই মুখ্য চালিকাশক্তি যোগায়। তাই কর্মজীবনের শুরু যেমনই হোক না কেন, একমাত্র সঠিক পরিকল্পনাই সফলতা এনে দিতে পারে। নিজের সফলতার মূলমন্ত্রকে এভাবেই ব্যাখ্যা করেন মুর। শিক্ষাজীবনের একেবারে শুরু থেকেই অ্যান ‘টাইম ইঙ্ক’ ম্যাগাজিনের নিয়মিত পাঠক ছিলেন। আর ঠিক বোধহয় তখন থেকেই স্বপ্ন বুনতেন নিজেকে এ প্রতিষ্...